বন্ধ্যাত্ব (Infertility)

বন্ধ্যাত্ব (Infertility)

বন্ধ্যাত্ব (Infertility) একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক দম্পতিকে প্রভাবিত করে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে নিয়মিত অরক্ষিত যৌন মিলনের পরেও এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে গর্ভধারণ করতে অক্ষমতা দেখা যায়।

বন্ধ্যাত্বের কারণ:

বন্ধ্যাত্বের কারণ নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  • নারীদের ক্ষেত্রে:
    • ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা (যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা পিসিওএস)।
    • ফ্যালোপিয়ান টিউবের বাধা।
    • এন্ডোমেট্রিওসিস।
    • জরায়ু ফাইব্রয়েড।
    • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
    • বয়স জনিত কারণ।
  • পুরুষদের ক্ষেত্রে:
    • শুক্রাণুর সংখ্যা কম বা শুক্রাণুর গুণগত মান খারাপ।
    • শুক্রাণু চলাচলে সমস্যা।
    • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
    • অণ্ডকোষের সমস্যা।
    • কিছু জেনেটিক সমস্যা।
    • জীবনযাত্রার কিছু কারণ যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ওজন।

বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ:

  • গর্ভধারণে অক্ষমতা।
  • নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক।
  • পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন অক্ষমতা।

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা:

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যা কারণের উপর নির্ভর করে:

  • ওষুধ: ডিম্বস্ফোটনে সাহায্য করার জন্য বা হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
  • সার্জারি: ফ্যালোপিয়ান টিউবের বাধা দূর করতে বা এন্ডোমেট্রিওসিস চিকিৎসার জন্য সার্জারি করা যেতে পারে।
  • সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (ART):
    • ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF)।
    • ইন্ট্রাইউটারিন ইনসেমিনেশন (IUI)।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

যদি এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে নিয়মিত অরক্ষিত যৌন মিলনের পরেও গর্ভধারণ না হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া, যদি কোনো দম্পতির মধ্যে আগে থেকেই কোনো প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বন্ধ্যাত্ব একটি জটিল সমস্যা হতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক দম্পতি সফলভাবে সন্তান ধারণ করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *